MMonir Trainer 2 years ago |
"যিনা একটি ঋণ যা অবশ্যই পূরণ করা হবে" একটি কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী ভ্রান্ত কথা!
"যিনা হচ্ছে ঋণ, হয় তোমার স্ত্রীর দ্বারা, না হয় তোমার বোন দ্বারা, না হয় তোমার মেয়ে দ্বারা পূরণ করা হবেই।" এ কথাটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে, কোনো পুরুষ যিনা করলে কোনো এক সময় তার স্ত্রী, মেয়ে কিংবা বোন অন্য কারো সাথে যিনায় লিপ্ত হবেই হবে। (নাউযুবিল্লাহ)
.
বেশ কয়েক জন ভাই-বোন আমাদের কাছে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে একটু অনলাইন ঘেটে দেখার চেষ্টা করে যেটা বুঝলাম, আজকাল ফেসবুকে কথাটি অনেকেই প্রচার করছেন, কিছু দ্বিনী ভাই - বোন অজ্ঞতার কারণে এ ধরণের কুফরি কথা প্রচার করছেন কিংবা এ ধরণের বাণী শেয়ার দিচ্ছেন। অথচ এটা সঠিক নয়, বরং মারাত্মকভাবে কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী, ভ্রান্ত ও অযৌক্তিক কথা। এ ধরণের কথা কেউ বিশ্বাস রাখলে সে ইসলাম থেকে বিপথে চলে যাবে।
এ বিষয়টি শায়খ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল হাফিঃ সুন্দরভাবে ব্যখ্যা করেছেন, শায়েখের বক্তব্য তুলে ধরা হলো -
১) এ কথায় কোন সন্দেহ নেই যে, যিনা-ব্যভিচার ধ্বংসাত্মক কবিরা গুনাহ এবং ইসলামের সবচেয়ে কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তা এমন ঋণ নয় যে, তা অবশ্যই তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা হলেও পূরণ করা হবে। কেননা একজনের অপরাধে আরেকজনকে শাস্তি দেওয়া বা অন্যজন থেকে প্রতিশোধ নেওয়া অথবা একজনের গুনাহের কারণে অন্যজনকে গুনাহে লিপ্ত করা আল্লাহর হেকমত পরিপন্থী।
মহান আল্লাহ বলেন,
"একজনের অপরাধের বোঝা আরেকজন বহন করবে না।"
[সূরা ফাতির : ১৮]
২) এ কথার দ্বারা একজন নিরাপরাধ মানুষের প্রতি অহেতুক কুধারণা সৃষ্টি হতে পারে।
যেমন: কারো পরিবারের কোন সদস্য (স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, বোন ইত্যাদি) দ্বারা যদি যিনার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে মানুষ তার প্রতি কুধারণা করতে পারে যে, তার স্বামী কিংবা বাবা হয়তো পূর্বে যিনা করেছিল। এ কারণে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যিনা সংঘটিত হয়েছে।
৩) এ কথার অর্থ দাঁড়ায়, কোন ব্যক্তি যদি কুপ্রবৃত্তির তাড়ানোয় বা শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে কখনো যিনা করে ফেলে, তারপর অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর দরবারে খাঁটিভাবে তওবা করে নেয় তারপরও তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা যিনা সংঘটিত হবেই। কারণ যিনা একটি ঋণ, যা অবশ্যই পরিশোধ করা হবে!! (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহ আমাদের ভ্রান্ত ধারণা থেকে হেফাজত রাখুন।
৪) এটি মূলত তওবাকারীকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।
অতএব এটা শরিয়া বিরোধী, অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত কথা।
(আল্লাহ আ'লাম)
তাই ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য করে বলব, দ্বীন প্রচার করতে এসে যেন মিথ্যা কিংবা প্রতারণার আশ্রয় না নেই। কারণ রাসূল (স) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি আমার ব্যপারে এমন কথা বলবে যা আমি বলি নি সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।"
(সহীহ বুখারী ১০৯)
#হারাম_থেকেই_হতাশা_আসে
#অবৈধ_প্রেম_মানেই_যিনা
#তোমার_রবকে_ভুলে_যেও_না
#হে_প্রেমাক্রান্ত_আত্মা
#haram_relationship_breakup_project
Alert message goes here